
রাজধানীর বিজয়নগরে আল রাজী টাওয়ারের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নূরের উপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি জানান।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন— “নুরের উপর হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই”, “জাতীয় পার্টির কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও”, “লীগ গেছে যেই পথে, জাপা যাবে সেই পথে”, “ভারতীয় ষড়যন্ত্র, রুখে দাও দিতে হবে”, “জুলাই যোদ্ধা আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই”, “আপা গেছে যেই পথে, জাপা যাবে সেই পথে”, “বিপ্লবীরা আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে” প্রভৃতি।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আজকে আমাদের এক জুলাই যোদ্ধা নুরের উপর নৃশংস হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যখন দেশে নির্বাচনের আমেজ তৈরি হয়েছে, তখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের জন্য জাতীয় পার্টি মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত এ দলকে কেন এখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি? অবিলম্বে জাপাকে নিষিদ্ধ করতে হবে, জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না।”
তারা আরও বলেন, “নূরের উপর হামলা মূলত পরীক্ষামূলক ছিল। এর মাধ্যমে সবার কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, নূরের উপর নয়— রক্তাক্ত জুলাইয়ের সব যোদ্ধাদের উপরই হামলা হয়েছে। এতে ইন্টেরিম সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ইন্টেরিমের ভেতরেও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আত্মা রয়ে গেছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ কায়েমে জাপা এখন তাদের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “জুলাইয়ের অন্যতম যোদ্ধা ভিপি নূরের উপর হামলা নিছক কোনো ঘটনা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। তিনি ২০১৮ সাল থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। বারবার হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন। সেই ব্যক্তির উপর এই সময়ে হামলা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে এবং জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় নুরুল হক নূর আহত হন।